HR-এর ভূমিকা ও গুরুত্ব:
  • স্টার্টআপ: HR-এর ভূমিকা প্রায়শই বহুমুখী হয়। একজন HR পেশাদারকে নিয়োগ, ইমপ্লয়িদের ধরে রাখা, কর্মসংস্কৃতি তৈরি, আইনি বিষয় দেখা,প্রশিক্ষণ, বেতন, বেনিফিট ইত্যাদি এবং প্রাথমিক নীতি ও প্রক্রিয়া প্রণয়নের মতো বিভিন্ন কাজ করতে হতে পারে। কৌশলগত পরিকল্পনার চেয়ে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানো এবং দ্রুত বৃদ্ধির ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়।
  • কর্পোরেট: এখানে HR-এর ভূমিকা বিশেষভাবে সংজ্ঞায়িত এবং প্রতিটি উপবিভাগের নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকে। কৌশলগত ইমপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট, ট্রেনিং, উত্তরাধিকার পরিকল্পনা, এবং বৃহত্তর পরিসরে ইমপ্লয়িদের সম্পর্ক বজায় রাখার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

টিমের আকার ও দায়িত্ব:
  • স্টার্টআপ: সাধারণত ছোট আকারের হয়ে থাকে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এমন টিম। সাধারণত দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশ।। HR-এর দায়িত্ব প্রায়শই ফাউন্ডার বা অল্প কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে ভাগ করা থাকে। এখানে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরিবর্তন গ্রহণের সুযোগ বেশি থাকে।
  • কর্পোরেট: বৃহৎ আকারের এবং এর কাঠামো স্তরভিত্তিক ও জটিল হতে পারে। এইচআর বিভাগ বিভিন্ন উপবিভাগে বিভক্ত থাকে (যেমন: নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, ক্ষতিপূরণ, সুবিধা ইমপ্লয়ি সম্পর্ক)। এখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পরিবর্তন বাস্তবায়ন তুলনামূলকভাবে ধীর হতে পারে।

নিয়োগ ও প্রতিভা অধিগ্রহণ:
  • স্টার্টআপ: নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং প্রায়শই ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক, সামাজিক মাধ্যম এবং রেফারেলের উপর নির্ভরশীল। কোম্পানির কালচারের সাথে মানানসই এবং দ্রুত শিখতে পারে এমন ইমপ্লয়িদের খোঁজা হয়।
  • কর্পোরেট: নিয়োগ প্রক্রিয়া সুগঠিত এবং প্রায়শই Applicant Tracking System (ATS) ব্যবহার করা হয়। বিস্তারিত জব ডেসক্রিপশন এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। ব্রান্ডিং এবং আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পদ্ধতির উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।

ইমপ্লয়িদের ধরে রাখা ও ডেভেলপমেন্ট:
  • স্টার্টআপ: ইমপ্লয়িদের ধরে রাখার জন্য আকর্ষণীয় সুযোগ, দ্রুত ক্যারিয়ার বৃদ্ধি এবং একটি প্রাণবন্ত কর্মপরিবেশ তৈরির উপর মনোযোগ দেওয়া হয়। সীমিত সম্পদ থাকার কারণে উন্নত সুবিধা প্রদান করা কঠিন হতে পারে।
  • কর্পোরেট: ইমপ্লয়িদের ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগিতামূলক সালারি, বিস্তৃত সুবিধাজনক বিভিন্ন প্যাকেজ এবং সুস্পষ্ট ক্যারিয়ার পথের সুযোগ প্রদান করা হয়। ইমপ্লয়িদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু থাকে।

অফিস কালচার ও যোগাযোগ:
  • স্টার্টআপ: সাধারণত একটি অনানুষ্ঠানিক এবং উন্মুক্ত কর্মসংস্কৃতি থাকে, যেখানে ইমপ্লয়িদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ এবং সহযোগিতা সহজ হয়।
  • কর্পোরেট: কর্মসংস্কৃতি তুলনামূলকভাবে আনুষ্ঠানিক হতে পারে এবং যোগাযোগ স্তর অনেকও নিয়মকানুনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।

HR ট্রেনিং ও ডেভেলপমেন্ট:
  • স্টার্টআপ: সরাসরি ও অনাকাঙ্খিত শেখার পরিবেশ তৈরি হতে পারে, এবং কম দৃঢ় ট্রেনিং প্রসেস থাকে।
  • কর্পোরেট: নিয়মিত ট্রেনিং, ইমপ্লয়িদের ডেভেলপমেন্ট ও ক্যারিয়ার প্লানিং এ গুরুত্ব দেয়।

রিস্ক ও সম্মতি:
  • স্টার্টআপ: আইনি সম্মতি এবং ঝুঁকি মান্যাজমেন্টের জন্য প্রায়শই সীমিত সম্পদ থাকে, তাই প্রাথমিক পর্যায়ে এই বিষয়গুলোতে কম মনোযোগ দেওয়া হতে পারে।
  • কর্পোরেট: আইনি সম্মতি এবং ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং HR বিভাগকে কঠোর নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।
সংক্ষেপে, স্টার্টআপের HR একটি ছোট, নমনীয় টিমের অংশ হিসেবে দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিবেশে কাজ করে, যেখানে বহুমুখী ভূমিকা পালন করতে হয়। অন্যদিকে, কর্পোরেট এইচআর একটি বৃহত্তর, সুগঠিত কাঠামোর মধ্যে বিশেষায়িত ভূমিকা পালন করে এবং দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও বৃহত্তর সংখ্যক ইমপ্লয়ির ব্যবস্থাপনার উপর মনোযোগ দেয়।